
‘শ্রেয়া ঘোষাল’ (Shreya Ghosal) ১৯৯৯ এ প্রথম আত্মপ্রকাশ, তারপরে নিজের যোগ্যতায় ‘লতাকন্ঠি’ হওয়ার সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি হলেন বাংলার গর্ব, সকলের প্রিয় জনপ্রিয় গায়িকা। মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের ছোট্ট শহর থেকে আজ সারা ভারতবর্ষের প্রথম সারির জনপ্রিয় গায়িকা তিনি। হিন্দি, বাংলা-সহ আরও নানান ভাষায় গান গেয়ে দেশ থেকে বিদেশে নিজের খ্যাতি ছড়িয়ে দিয়েছেন। মাত্র ৪ বছর বয়সেই গানকে ধ্যান-জ্ঞান বলে মনে করেছিলেন। সম্প্রতি এই ভারতবন্দিত সংগীতশিল্পীর একটি পুরনো ভিডিও (Old Video) ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুল পরিমাণে ভাইরাল (Viral) হয়েছে।
শ্রেয়া ঘোষাল ১৬ বছর বয়সীতে ২০০০ সালে সারেগামাপাতে (Sa Re Ga Ma Pa) নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে মুগ্ধ করেছিলেন বিচারকদের। সেই সময় তাঁর কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল রাজস্থানী একটি ফোক সংগীত। সেই সময়ে এত ছোট বয়সে অসাধারণ ভঙ্গিমায় রাজস্থানী ফোক সঙ্গীত তাঁকে গাইতে দেখে রীতিমত অবাক হয়ে গিয়েছিলেন বিচারকেরা। তাঁর কারণ তিনি একজন বাঙালি হলেও দীর্ঘদিন রাজস্থানী রাওয়াতভাতারেতে বড়ো হয়েছিলেন। সেই সময় সেমি ফাইনাল রাউন্ডে তাঁর গলায় এই রাজস্থানী ফোক সঙ্গীত রীতিমত মুগ্ধ করেছিল সকলকে।
২৩ বছর আগেকার সেই পুরনো ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই সময় এই রিয়েলিটি প্রোগ্রামের সেমিফাইনালে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উসা খান্না, সাবির কুমারের মতো বড়-বড় সঙ্গীতশিল্পী। ওইটুকু বয়সেই শ্রেয়া ঘোষাল অত্যন্ত কনফিডেন্সের সাথে ঊসা মঙ্গেশকরের গলায় গাওয়া রাজস্থানী ফোক নিখুঁতভাবে গেয়েছিলেন। তাঁর অসামান্য পারফরম্যান্স থেকে তৎকালীন সঞ্চালক সোনু নিগম জানতে চেয়েছিলেন ‘তোমার মাতৃভাষা বাংলা, তাহলে এত সুন্দর রাজস্থানী ভাষায় গান কিভাবে গাইছো’! উত্তরে সলজ্জ শ্রেয়া ঘোষাল জানিয়েছিলেন ভারতের সব ভাষাই তাঁর কাছে অত্যন্ত প্রিয়।
সেই বারের সারেগামাপা এর বিজেতা শ্রেয়া ঘোষাল পরবর্তীকালে হয়ে উঠেছেন ভারতের প্রথম সারির গায়িকা। বিজেতা হবার পর পরবর্তীকালে বিখ্যাত পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনসালির নজরে আসেন তিনি এবং এরপর ‘দেবদাস’ ছবির একাধিক হিট গান বৈরি পিয়া, মোরে পিয়া, ডোলা রে মতো একাধিক কালজয়ী গান গেয়েছিলেন কিশোরী শ্রেয়া ঘোষাল। তবে দুই দশক পার হলেও একাধিক ভাষায় প্রায় এক হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করে ফেলেছেন এই গায়িকা। বর্তমানে তিনি প্রথম সারির একজন গায়িকা। সবে তিনি নতুন মা হয়েছেন। তবে লতা মঙ্গেশকরের অনুরাগিনী এই গায়িকা আজ ও জনসাধারণের কাছে একই রকম ভালোবাসার পাত্রী হয়ে রয়েছেন।